বড় কোনো ইভেন্ট কিংবা প্রোগামকে কেন্দ্র করে গর্জিয়াস মেকআপ লুক করলেও রেগুলার মেকআপ লুক কেমন হতে পারে তা নিয়ে অনেকের মধ্যে কনফিউশন থাকে। রেগুলার মেকআপে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যায় না অতিরিক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ফলে স্কিনে অনেকের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। কিন্তু মিনিমাল কিছু প্রোডাক্ট ব্যবহার করে অফিস কিংবা ইউনিভার্সিটি যাওয়ার আগে আপনি সুন্দর একটি লুক ক্রিয়েট করে যেতে পারেন। ঘর থেকে বের হবার আগে হালকা মেকআপ এবং পরিপাটি হয়ে বের হলে আপনি সারাদিনের জন্য কনফিডেন্ট থাকবেন। তাই আজ জেনে নেয়া যাক কেমন হতে পারে আপনার রেগুলার মেকআপ লুক :
স্কিন কেয়ার ;
একটি সুন্দর মেকআপ লুক এর জন্য স্কিন কেয়ারের বিকল্পে কিছুই হতে পারে না। আপনি যত ভালো করে মেকআপ করেন না কেন যদি সঠিকভাবে স্কিনের যত্ন না নেন তাহলে সেই মেকআপ কখনোই সুন্দর হবে না। তাই সকালবেলা ক্লাসে কিংবা অফিসে যাওয়ার আগে একটি স্কিন কেয়ার মেইনটেইন করা খুব বেশি জরুরী, তাই হাতে কিছুটা সময় নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা উচিত। কিনের যত্ন কিভাবে নিবেন তার নির্ভর করছে আপনার স্কিন কি ধরনের তার উপর। প্রথমে সকালে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে যাদের অয়েলি স্কিন তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ঘুম থেকে ওঠার পর নাকের আশেপাশে তেল জমে থাকে। সে ক্ষেত্রে একটি বরফের টুকরা মুখের মধ্যে ভালো করে ম্যাসাক করে নিতে পারেন। এর ফলে আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হবে এবং মেকআপ সহজে বসবে। আপনার ত্বকের ধরন বুঝে একটি ভাল ব্র্যান্ডের ফেসওয়াস বেছে নিন, সকালে মুখ পরিষ্কার করার সময় ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। স্কিন কেয়ারের সবচেয়ে অবহেলিত প্রোডাক্ট হচ্ছে টোনার। অনেকেই টোনার এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু টোনারে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা। টোনার স্কিনকে হাইড্রেড রাখতে সাহায্য করে। তবে টোনারো বেছে নিতে হবে স্কিনের ধরন বুঝে অ্যালকোহল যুক্ত টোনার ব্যবহার না করাই ভালো। ময়শ্চারাইজার এর গুরুত্ব সম্পর্কে এখন সবারই কম বেশি জানা। তাই মেকআপ শুরু করার আগে ভালো করে মশ্চারাইজার এপ্লাই করে নিতে হবে ময়শ্চেরাইজার স্কিনের রুক্ষতা কমাবে এবং অনেকক্ষণ মেকআপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এবং অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে অনেকের ধারণা সারাদিনে একবার সানস্ক্রিন লাগালেই যথেষ্ট কিন্তু না মেকআপের উপরও সানস্ক্রিন রিপ্লাই করতে হবে।
কুইক মেকাআপ :
যেহেতু সকালে হাতে কম সময় থাকে তাই খুব জলদি একটি মেকআপ নিয়ে নিতে হবে। রেগুলার মেকাপ এর ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন না দেওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন বিবি ক্রিম। পিগমেন্টেশন, চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কিংবা যেকোনো ধরনের দাগ ঢেকে দেয়ার জন্য ব্যবহার করুন স্কিন টোনের সাথে মিল রেখে কনসিলার। এরপর লুজ পাউডার কিংবা ফেস পাউডার দিয়ে আপনার মেকাআপ সেট করে নিন। রেগুলার মেকআপ এর ক্ষেত্রে খুব বাড়তি কিছু ব্যবহার না করাই উচিত। আপনার পছন্দের যে কোন একটি ব্লাশন ব্যবহার করে বেইজ মেকআপ কমপ্লিট করে ফেলুন। চোখের সাজের ক্ষেত্রে কাজল কিংবা আইলাইনার ব্যবহার করে মাশকারা এপ্লাই করুন।
রেগুলার মেকাপ এর ক্ষেত্রে নুড শেইডে লিপস্টিক বেছে নেওয়া ভালো। সবশেষে মেকাআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে ভোলা যাবে না যেহেতু সারাদিন অনেক ধরনের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে মেকাপ সেটিং স্প্রে আপনার মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে।
পেশাগত কারণে আমাদের রেগুলার মেকআপ নেয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু দিনশেষে বাড়ি ফিরে আমরা যদি ভালো ভাবে সেই মেকআপ না তুলি তাহলে স্কিনের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঘরে ফিরে অবশ্যই ভালো করে মেকআপ রিমুভার দিয়ে মেকাআপ তুলে ফেলতে হবে। মেকআপ রিমুভ করার পর স্কিন অনেক সময় অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আবার মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।