সারাদিন ব্যস্ততার পর করে আমরা ঘরে ফিরি, তাই নিজের ঘরকে আরামদায়ক ও প্রশান্তিতে সবাই রাখতে চায়। সবারই চিন্তা নিজের ঘরকে কিভাবে সুন্দর করে সাজানো যায়। তাই আপনার ঘরকে একটু সবুজ দিয়ে সাজিয়ে তুলতে ঘরে রাখতে পারেন ইনডোর প্ল্যান্ট। গাছের বেড়ে উঠার জন্য সঠিক পরিমাণের আলো বাতাস প্রয়োজন, কিন্তু ইনডোর প্ল্যান্ট খুব বেশি আলো বাতাস ও যত্ন ছাড়াই ঘরের মধ্যেই বেঁচে থাকতে পারে। ইনডোর প্ল্যান্ট করার কয়েকটি সুবিধা হলো :
মানসিক চাপ কমায় :
প্রতিটি মানুষেরই নানারকম মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কাজের চাপ, পড়ালেখা, নিত্যনতুন ঝামেলা ইত্যাদি, যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত দেয় ইনডোর প্ল্যান্ট। সাধারণত গাছপালা মানুষকে প্রশান্তি দেয় ও মনের চাপ কমায়। তাই সে গাছ যদি থাকে আপনার ঘরেই তাহলে দিন শেষে বাড়ি ফিয়ে কিছুটা প্রশান্তি উপভোগ করা যাবে৷ তাছাড়া গাছপালা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে৷
বাতাসকে বিশুদ্ধ করে :
গবেষণায় দেখা গেছে ইনডোর প্ল্যান্ট পরিবেশের ক্ষতিকর পদার্থ কার্বন মনোক্সাইড, ফর্মালডিহাইড, অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইডসহ আরও অনেক কিছু দূর করতে সাহায্য করে। এই পদার্থগুলো মূলত আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুটির জন্যই ক্ষতিকর। ইনডোর প্ল্যান্ট ঘরের অক্সিজেনকে বিশুদ্ধ করে৷
সাশ্রয়ী :
এলোভেরা, পুদিনা পাতা, তুলসী পাতা ইত্যাদির মতো কিছু ইনডোর গাছ ঘরে থাকলে খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা করা যায়।ঘরের খালি স্থান কিভাবে সাজাবো এটি নিয়ে প্রায় অনেকেরই চিন্তার মধ্যে পরতে হয়। সেক্ষেত্রে ইনডোর প্ল্যান্টের চেয়ে সাশ্রয়ী কিছুই হতে পারে না।
গাছের যত্ন :
বলা হয়ে থাকে ইনডোর প্ল্যান্টের তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না কিন্তু কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল না রাখলে গাছ ঠিক মতো বেড়ে উঠে না কিংবা মারা যায়৷ ইনডোর গাছে অতিরিক্ত পানি দিলে গাছের পাতা পচে যায় তাই মাটি শুকানোর আগে কখন পানি দেয়া উচিত না। আবার প্রয়োজন মতো পানি না দিলেও গাছ তার প্রান হারায়৷ গাছ তার সজীবতা হারালে তাতে কয়েকদিন নিয়মিত পানি দিতে হবে৷ অনেক সময় গাছে ফাঙ্গাস হয় সেক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে গাছকে বারান্দা কিংবা রোদে রাখতে হবে। গাছে পানি দেয়ার আগে টবের মাটি চেপে দেখতে হবে ভেজা ভাব আছে কিনা, ভেজা ভাব থাকলে পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই৷ গাছে মাঝের মধ্যে জীবাণুনাশক স্প্রে দিতে হবে, এতে পোকামাকড় থাকবে না। গাছের হলুদ হয়ে যাওয়া পাতা তুলে ফেলতে হবে, এতে গাছ ভালো থাকবে৷ খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়াঁয় যাতে সারারাত পানি জমে না থাকে, তাতে গাছে গোড়া পচে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনেকে কোনো গাছ মরে গেলে মন খারাপ করে সে গাছ তুলে ফেলে, কিন্তু গাছ মরে যাওয়ার সাথে সাথে না তুলে ধৈর্য সহকারে আরো কিছুদিন যত্ন করতে হবে। এতে অনেক সময় গাছ তার হারানো সজীবতা ফিরে পায়৷