আমরা সবাই জানি রাতে ভালো ঘুম না হলে স্কিনে ব্রণ, ডার্ক সার্কেলের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। রাতে একটা ফ্রেশ ঘুম আপনার স্কিনকে ন্যাচারালি রিপেয়ার করতে সাহায্য করে। কিন্তু ঘুমের আগে যদি আমরা নাইট স্কিন কেয়ার করে শুতে যাই তবে রিপেয়ারিং এ সেটি স্কিনকে সাহায্য করে। তবে নাইট স্কিন কেয়ার করতে হবে স্কিনের ধরণ বুঝে।
অয়লি স্কিন নাইট কেয়ার :
অয়লি স্কিন খুব বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে, সঠিকভাবে যত্ন না নিলে খুব সহজের ব্রণ বা একনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাইরের ময়লা গিয়ে অয়লি স্কিনের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় তাই অয়লি স্কিনে দিনের মতো রাতেও চাই যত্ন।
স্কিন অয়লি হলে ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। ক্লেনজিং এর ক্ষেত্রে ওয়াটার বেইজ ক্লেনজার বেছে নিতে হবে৷
ক্লেনজিং এর পরে টোনার ব্যবহার করা জরুরি কারন এটি পিএইচ লেভেল ব্যালেন্স করে। এরপর একটি ময়েশ্চারাইজার এপ্লাই করে নিতে হবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে অয়লি স্কিনের ময়েশ্চারাইজার যাতে খুব বেশি ভারী না হয়।
ড্রাই স্কিনের নাইট কেয়ার :
অনেকে হয়তো জানে না ড্রাই স্কিনে খুব সহজে রিংকেলস দেখা দেয়। তবে অয়লি স্কিন নিয়ে আমরা যতটা ভাবি ড্রাই স্কিন নিয়ে তেমন ভাবা হয় না৷ কিন্তু ড্রাই স্কিনেও প্রয়োজন যত্ন৷ না হলে স্কিন ঝুলে যাওয়া সহ আরো নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে৷
তাই ড্রাই স্কিনের জন্য বেছে নিন ভালো একটি ক্রিমযুক্ত ক্লেনজার। ড্রাই স্কিনের জন্য ভিটামিন ই খুব উপকারী, তাই ভিটামিন ই যুক্ত টোনার বেছে নিতে পারেন। এরপর ড্রাই স্কিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে মশ্চেরাইজার। মশ্চেরাইজার স্কিনকে আদ্রতা দেয়, তাই সারারাত স্কিনকে আদ্র রাখতে অবশ্যই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগের মশ্চেরাইজার ব্যবহার করতে হবে৷
স্কিনের পাশাপাশি রাতে ঠোঁটের যত্ন নিতেও ভুলবেন না৷ যাদের স্কিন ড্রাই তাদের ঠোঁট খুব সহজে শুকিয়ে আসে তাই ঠোঁটকে নরম রাখতে লিপবাম ব্যবহার করুন।
সারাদিন পর বাড়ি ফিরে অবশ্যই মেকআপ খুব ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে৷ সেক্ষেত্রে মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করতে হবে।
মেকআপ না তুললে মুখে ব্রণ ও কালো দাগ হতে পারে। কারণ
মেকআপ মুখের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, এর ফলে স্কিন ভালোভাবে অক্সিজেন পায় না ও নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই রাতে মেকআপ তোলা ছাড়া কোনোভাবে ঘুমাতে যাওয়া যাবে না৷ এবং নাইট স্কিন করে সাথে সাথে ঘুমাতে না গিয়ে ৩০/৪০ মিনিট পর যেতে হবে, এতে করে স্কিনে প্রোডাক্ট ভালোভাবে প্রবেশ করার সময় পাবে।