সবাই আমরা কম বেশি স্কিন কেয়ার করে থাকি, দিনের অনেক ব্যস্ততার মধ্যে নিজের জন্য সময় বের করে স্কিন কেয়ার করি। এবং সারাক্ষণই ভালো মানের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের খোঁজে থাকি৷ তবে আমাদের স্কিন কেয়ারের কেন্দ্রবিন্দু থাকে আমাদের ফেইস। সবাই নিজের শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে নিজের ফেইস নিয়ে সচেতন থাকে৷ অনেক সময় ফেইসের একটি অংশ ঠোঁট যার যত্ন নেয়া হয় না। দীর্ঘদিন অযত্নের ফলে ঠোট হয়ে উঠতে পারে রুক্ষ ও নির্জীব। বিশেষ করে এখন পরিবর্তন হচ্ছে মৌসুম, এই সময়টা আবহাওয়া খানিকটা রুক্ষ থাকে। তাই আপনার শরীরের অন্যান্য অংশের মতো ঠোঁটও চায় বাড়তি যত্ন৷ ঠোঁট তার সজীবতা হারালে যত ভালো মানের লিপষ্টিক দেয়া হোক না কেন তার ফিনিশিং ভালো হবে না।
অনেকের ঠোঁট কালচে হয়ে যায় কিংবা ঠোঁট ফেটে যায়, যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর ব্যাপার। কারো ক্ষেত্রে ঠোঁট ফেটে যাবার জন্য আদ্র আবহাওয়ার প্রয়োজন হয় না, সব সময় তাদের ঠোঁট ফেটে যাওয়ার সমস্যার মধ্যে পরতে হয়৷ ঠোঁটে সমস্যা হবার নানা কারন রয়েছে যেমন হরমোনলার সমস্যা, লাইফস্টাইল, অত্যধিক ধূমপান ও কফি খাওয়ার কারনেও ঠোঁট কালো হতে পারে,
ঠিক মতো ঠোঁট থেকে লিপষ্টিক রিমুভ না করা, নকল প্রোডাক্ট ব্যবহার, অ্যানিমিয়া এবং ভিটামিনের অভাবের জন্য এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে, নিকোটিন ও বেনজোপাইরিন স্কিনেরমেলানিন রিলিজ বাড়িয়ে দেয় যা ঠোঁটের মধ্যে কালচে ভাব নিয়ে আসে, শরীরে পানি শূন্যতা হলেও ঠোঁটের রং পরিবর্তন হতে পারে ও রুক্ষতা দেখা দিতে পারে৷
ঠোঁটের যত্নে করণীয় :
ঠোঁটের রুক্ষতা কমাতে ঠোঁটে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঠোঁটের মসৃণতা বাড়াতে সাহায্য করে৷ নারকেল তেলের সাথে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করলে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে আসবে, তাছাড়া ম্যাসাজ রক্ত চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে।
আমাদের দেহের অন্যান্য অংশ থেকে ঠোঁট খুব সেনসিটিভ। তাই ঠোঁটে ব্যবহার করার প্রোডাক্ট নিয়ে কখনো আপস করা যাবে না। অনেকেই ঠোঁটে ব্যবহারকৃত পণ্য নিয়ে অবহেলা করে যার ফলে ঠোঁটে ঘা সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়৷ তাই ঠোঁটের জন্য বেছে নিতে হবে ভালো মানের প্রোডাক্ট।
অনেক বেশি পানি পান করতে হবে৷ কারন শরীর যখন চাহিদা অনুযায়ী পানি পায় না তখন পানির ঘাটতি পূরন করার জন্য ঠোঁট থেকে পানি নেয়। ফলে ঠোঁটে দেখায় দেয় শুষ্কতা। তাই শরীরকে রাখতে হবে হাইড্রেটেড৷
অন্যান্য মেকাআপ ব্যবহার না করলেও লিপষ্টিক ব্যবহার করে না এমন মেয়ে খুঁজে বের করা কঠিন। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ি থেকে বের হবার আগে ঠোঁটে লিপষ্টিক এপ্লাই করা হয়, কিন্তু দিনশেষে ঘরে ফিরে অনেকেই সঠিকভাবে ঠোঁট থেকে লিপষ্টিক রিমুভ করে না। তাই প্রতিদিন ভালো করে লিপষ্টিক রিমুভ করতে হবে৷
আমাদের প্রতিদিনের খাবারের প্রভাব আমাদের স্কিনের উপর পরে তাই হেলথি খাবার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত সুগার ও সুগার জাতীয় খাবার পিগমেন্টেশন বাড়ায়। খাদ্য তালিকা থেকে প্রসেসড ও সুগার জাতীয় খাবার কামানোর চেষ্টা করতে হবে। ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি জাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন বি অভাবে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। অনেকের ঠোঁট ফেটে রক্ত পরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘা শুকাতে ভিটামিন সি সাহায্য করে থাকে৷ ধূমপান ও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
Lipstick
ঘরোয়া অনেক পদ্ধতিতেই ঠোঁটের যত্ন নেয়া যায় কিন্তু ব্যস্ত দিনে সময় বের করে ঠোঁটের যত্ন নেয়া কঠিন হয়ে যায় তাই সেক্ষেত্রে ঠোঁটের যত্নে বেছে নিতে পারেন গার্নিস “ময়শ্চারাইজিং এন্ড রিপেয়ার লিপ বাম“। এটিতে থাকা উপাদান আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব কমাবে ও ময়শ্চারাইজড করে রাখবে যে ঠোঁটের জন্য অনেক বেশি জরুরী। তাছাড়া এটি ক্যারি করা খুব সহজ, আপনার ব্যাগে রেখে দিয়ে যখন তখন রি -এপ্লাই করে নিতে পারবেন।