ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পায় না কেউই, নারী পুরুষ সবারই কমবেশি ত্বকের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ত্বকের যেকোনো সমস্যার জন্য ভিটামিন ই-এর প্রয়োজনীতার কথা আমরা সবাই জানি। ভিটামিন ই হচ্ছে এক ধরনের চর্বিযুক্ত ভিটামিন, ভিটামিন ই তে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট যা আমাদের ত্বকের জন্য খুব বেশি উপকারী।শরীর সুস্থ রাখতে এবং ত্বক, চুল ও পেশির গঠনে ভূমিকা রয়েছে এই ভিটামিনের। ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল এই ভিটামিন ই। এছাড়াও ভিটামিন ই এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও ত্বকের গঠনে সাহায্য করে এই ভিটামিন। এছাড়াও ভিটামিন ই ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা রাখে নিয়ন্ত্রণে। তাই প্রথমে আমরা জেনে নেই ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই কি কি ভূমিকা রাখে :
- ১। আগেই জেনেছি ভিটামিন ই তে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা ত্বকের অনেক ছোটবড় সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।
- ২। বয়স বাড়ার সাথে সবার ত্বকের বলিরেখা দেখা দেয়। সেই বলিরেখা কমাতে ভিটামিন ই অনেক ভূমিকা রয়েছে। ভিটামিন সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ৩। ভিটামিন ই ফলে ত্বক অনেক বেশি মসৃন হয়।
- ৪। ত্বকের কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতেও ভিটামিন ই সাহায্য করে।
- ৫। ভিটামিন ই চোখের নিচে কালি কমাতে সাহায্য করে।
- ৬৷ ভিটামিন ই ত্বকের র্যাশ ও ইচিং কমাতে সাহায্য করে।
বাদাম, উদ্দভিজ তেল, ডিমের কুসুম, সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, বাধা কপি, মটর শুটি, আভোকাডো, স্যালমন মাছ, লেবু, সয়াবিন তেল, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানের ভিটামিন ই রয়েছে। শরীরে নানাবিধ কারণে ভিটামিন ই অভাব দেখা দিতে পারে৷ যেমন দীর্ঘদিন ধরে লো ফ্যাট ডায়েট। লো ফ্যাট ডায়েটে সাধারণত খুব কম তেল খাওয়া হয়, তখন শরীরে ভিটামিন ই ঘাটতি দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে একজন প্রাপ্ত বয়স্কদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ১৫ গ্রাম ভিটামিন ই থাকা প্রয়োজন। ভিটামিন ই অভাব দেখা দিলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, শরীরে ভিটামিন ই অভাব হলে দেখা দিতে পারে ব্রণের সমস্যা। এছাড়া ভিটামিন ই অভাবে ত্বক অনেক বেশি মলিন হয়ে যেতে পারে৷ তাই বুঝতেই পারছি ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই গুরুত্ব কতটা৷ শরীরকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই দিতে সঠিক ডায়েট মেনে চলার পাশাপাশি বাইরে থেকে ত্বকে দিতে হবে ভিটামিন ই। কারণ শুধু খাদ্য অনেক সময় যথেষ্ট হয় না৷ তাই ব্যবহার করতে পারেন ” ভিটামিন ই মিল্ক প্লাস ফেইসওয়াশ “। নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে এই ফেইসওয়াশে ভিটামিন ই পাশাপাশি রয়েছে ছাগলের দুধের নির্যাস। ফ্যাটের একটি বড় উৎস ছাগলের দুধ। দুধের গুনাগুনের ব্যাপারে কারো অজানা না৷ দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাজার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া দুধ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, শুষ্কতা কমায় ও ত্বকের গভীরের ময়লা পরিষ্কার করে। আরো রয়েছে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট।
তাই ভিটামিন ও দুধের নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ” ভিটামিন ই মিল্ক প্লাস ফেইসওয়াশ”। এই ফেইশওয়াশটি তৈলাক্ত ও শুষ্ক দু ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকারী। তাই এটি যে কেউ নিশ্চিতে ব্যবহার করতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হওয়া, এই ফেইশওয়াশটি অতিরিক্ত সিবাম থেকে রেহাই দিবে। আর ভিটামিন ই ফলে শুষ্ক ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ। ফেইশওয়াশে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আরো বেশি স্বাস্থ্যকর করে তুলে। যাদের ত্বকে একজিমা, চুলকানি ও ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে তারা দুধের নির্যাস জন্য তা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবে। ছাগলের দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে ধীরে ধীরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। ভিটামিন ই ও দুধ দুটিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভূমিকা পালন করে থাকে৷ এছাড়া ছাগলের দুধের নির্যাসে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে ও মসৃন করে। ভিটামিন ই ত্বকের ইউভি ক্ষতি কমাতে সক্ষম ও ত্বকের কোষকে ক্ষতি হতেও বাঁধা প্রদান করে থাকে। এটি মুখের ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিবে কারণ, এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করবে ও রিফ্রেশ অনুভূতি দিবে।
তবে যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পরে রাতারাতি ফলাফল আশা করা যাবে না, সকল নিয়ম মেনে নিয়মিত ধৈর্য সহকারে ব্যবহারের পরেই আপনি ফল আশা করতে পারেন। সুতরাং আপনি যদি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী একটি ভালো মানের ফেইশওয়াশ খুঁজে থাকেন তবে ” ভিটামিন ই মিল্ক প্লাস ফেইসওয়াশ” আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন নির্দ্বিধায়।
ব্যবহার বিধি : প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন, এরপর টিউব থেকে অল্প পরিমানের প্রোডাক্ট বের করে হাতের তালুর মধ্যে ঘষে ফেনা তৈরি করে মুখ ও ঘাড়ে ভালো মতো ম্যাসাজ করুন৷ এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে দুবার ব্যবহারই যথেষ্ট।