প্রতিদিন যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন তার ইনগ্রেডিয়েন্টস দেখে নিচ্ছেন তো? 

sincare tips

আমরা ক’জন কোনো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কেনার আগে তার উপরের ইনগ্রেডিয়েন্টস দেখি? খুব কম মানুষই এ কাজটা করে। কিন্তু পারতপক্ষে আমাদের প্রোডাক্টের ইনগ্রেডিয়েন্টস সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। কারণ অনেক ইনগ্রেডিয়েন্ট আমাদের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে গার্নিস তাদের সকল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট তৈরি করে এমন সব ইনগ্রেডিয়েন্টস যা সব স্কিন টাইপের জন্য উপকারী হয়৷ যেকোনো প্রোডাক্ট মানেই তাতে কিছুটা ক্যামিকেল থাকবে, তবে ক্যামিকেল শব্দটা শুনেই আতংকে উঠবার কিছু নেই। সব ক্যামিকেল কিন্তু ক্ষতির কারণ না৷

1,580
20
21
23
1,650
This product has multiple variants. The options may be chosen on the product page

গার্নিসের বডি ও ফেইস স্ক্রাবে ব্যবহার করা হয় গ্লিসারিন। গ্লিসারিনে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। এটি স্কিনের জন্য বেশ নিরাপদ ও অনেক সময় ধরে স্কিনের আর্দ্রতা ধরে রাখে। গ্লিসারিনের মধ্যে থাকা ট্রাই হাইড্রক্সি অ্যালকোহল এই কাজটি ভালোভাবে করে। এছাড়া গ্লিসারিন স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে। ড্রাই স্কিনের জন্য গ্লিসারিন সবচেয়ে বেশি উপকারী। বডি লোশনে ব্যবহার করা হয় বীজ তেল, বীজ তেলের গুনাগুন কারো অজানা না। বীজ তেল সাধারণত স্কিনের অনেক গুরুতর সমস্যার সমাধানও করে থাকে। বীজের তেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ভিটামিন ই এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির থেকে রক্ষা করে। আরো থাকে ম্যাকাডামিয়া। এটিতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন যা স্কিনের জন্য উপকারী। এছাড়া রয়েছে আরো নানা পুষ্টিগুণ।


গার্নিসের স্কিনের কেয়ার প্রোডাক্টে থাকে কাঠকয়লার পাউডার। কাঠকয়লা স্কিনকে অতিরিক্ত অয়েল প্রোডিউস করতে বাধা দেয়, এছাড়া স্কিন থেকে অনেক টক্সিসিটি কমিয়ে দেয়৷ নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে ডেড সেল উঠে আসে ও স্কিন অনেক বেশি ব্রাইট হয়৷ আমরা জানি যে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে স্কিনে অনেক ব্রণের মতো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়৷ কাঠকয়লার পাউডার কিন্তু এই সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়। এছাড়া ব্যবহার করা হয় নানা ধরণের উপকারী পাতার রস যেমন তুলসীর রস কিংবা ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। ক্যামেলিয়া সিনেনসিস হচ্ছে এক ধরনের গাছ৷

গাছের নির্যাস ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়, আমাদের স্কিনের অনেক সমস্যা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। তখন এটি এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আরো ব্যবহার করা হয় পেপারোমিয়া গাছের নির্যাস। পেপোরোমিয়া স্কিনের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। স্কিনকে আরো নরম করে ও এমনি পেপোরোমিয়া স্কিন ক্যানসার হবার ঝুকি কমিয়ে দেয়। ব্যবহার করা হয়ে থাকে ক্যাস্টর অয়েল। এটি স্কিনের পিগমেন্টেশন দূর করে ও বলিরেখা কমিয়ে দেয়। ক্যাস্টর অয়েল এ আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন – ই, যা ত্বকের ইলাস্টিন ও কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়ক। আরো রয়েছে আলমন্ডভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের , যাতে রয়েছে ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা স্কিনের সব ধরণের সমস্যা মুক্তি দিয়ে থাকে৷ এছাড়া ব্রণের সমস্যাও কমে আসে। ত্বকের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে রেটিনল।

অনেকে এটিকে ভিটামিন এ১ বলে থাকে। সিরাম ও লোশনে রেটিনলের ব্যবহার দেখা যায়, এটি ছাড়াও আরো স্কিন কেয়ারেও এটি রয়েছে। রেটিনল স্কিনের কোলাজেন বাড়াতে হেল্প করে। ভিটামিন এ থেকে এটি বানানো হয় ফলে এটিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। নতুন কোষ তৈরি হতেও রেটনলের ভূমিকা রয়েছে। এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। আরো রয়েছে এলোভেরার নির্যাস। স্কিন কেয়ারে এলোভেরার ভূমিকা সবার জানা, এটি ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল। ব্রণের সমস্যা কমিয়ে আনে ও দাগ হালকা করে।

এমন আরো অনেক ইনগ্রেডিয়েন্টস দিয়ে তৈরি করা হয় গার্নিস স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, যা আমাদের ত্বকের যত্নে ভূমিকা রাখে। এছাড়া বজায় থাকে নিরাপত্তা। তবে যেকোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে ইনগ্রেডিয়েন্টস দেখে নিতে হবে এবং জানতে হবে কোনটি আপনার ত্বকের জন্য নিরাপদ নয়৷ কারণ সবার ত্বকের ধরণ ভিন্ন, তাই বেছে নিতে হবে আপনার ত্বকের উপযোগী প্রোডাক্ট

Leave a Reply