শীতকে বিয়ের মৌসুম বলা হলেও সারা বছর জুড়েই এখন বিয়ের অনুষ্ঠান দেখা যায়৷ একজন মেয়ের জীবনে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তাই সবাই চায় এই দিনে তাকে লাগুক একদম পারফেক্ট এবং ভিন্নধর্মী। তাই বিয়ের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। গত কয়েক বছরে বিয়ের সাজে এসেছে অনেক পরিবর্তন। তাই জেনে নেয়া যাক এখন কনের সাজে কি রয়েছে ট্রেন্ডে :
কনের মেকাআপ :
বিয়ের মেকাআপ মানে ছিল কনেকে অনেক বেশি ফর্সা লাগতে হবে। কনেকে বিয়ের সময় মানুষ চিনতেই পারত না৷ কিন্তু এখন কনেরা চায় একদম ন্যাচারাল লুক। মেকাআপ নো মেকআপ লুক এখন রয়েছে বেশ ট্রেন্ডে। মেকাআপ আর্টিস্ট এর কাছে গিয়ে বেশিরভাগ কনের আবদার থাকে যাতে তার গায়ের রং পুরোপুরি বদলে ফেলা না হয়। কনেরা মেকাআপের ক্ষেত্রে চোখে গাঢ় রংয়য়ের শেড বেছে নিলেও ঠোঁটে নুড লিপস্টিক দিয়ে থাকে৷ তবে গাঢ় লাল লিপস্টিকও অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। কনের মেকাআপ নির্ভর করছে তার পোশাক ও অনুষ্ঠানের সময়ের উপর। দিনে অনুষ্ঠান হলে কিছুটা হালকা মেকাআপ করার চেষ্টা করতে হবে৷ হলুদ কিংবা মেহেদী সন্ধ্যার মেকাআপ নেচারাল রাখতে হবে৷ এখনকার বেশিরভাগ কনে পোশাক ভারী রেখে মেকাআপ হালকা নিয়ে থাকে৷ পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে এখন আর কেউ তেমন মেকাআপ লুক করে না। বেশির কনে চায় ব্রাউন কিংবা গ্লিটারি আইলুক।
বাংলাদেশে এখন অনেক মেকআপ আর্টিস্ট রয়েছে। কার কাছে সাজবেন তা ঠিক করার আগে ভালো করে তাদের অন্যান্য কাজ দেখতে হবে ও সার্ভিস সম্পর্কে জানতে হবে। যাতে করে কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে না পরতে হয়। অন্য কোনো কনের ছবি থেকে অনুপ্রেরিত না হয়ে নিজেকে জানতে হবে কোনো মেকাআপ আপনার সাথে মানানসই। কারণ একই আই লুক হয়তো একজন কনেকে ভালো লাগছে, আপনাকে তা নাও শোভা দিতে পারে। হাতে সময় নিয়ে মেকাআপ আর্টিস্ট ঠিক করা উচিত, যাতে করে বিয়ের আগে তার কাছে সরাসরি কাউন্সিলিং নেয়া যায়।
কনের চুলের সাজ :
লেহেঙ্গা হোক কিংবা শাড়ি যেকোনো পোশাকের সাথেই বড় করে খোঁপা করে যেকোনো ফুল বেশ মানিয়ে যায়। কিন্তু খোঁপায় নিয়ে আসা যেতে পারে ভিন্নতা যেমন করা যেতে পারে ফ্লোরাল বান কিংবা প্যাঁচানো খোঁপা। চাইলে খোঁপায় পরতে পারেন কোনো অলংকার। হলুদের অনুষ্ঠানে বেণি করে সাইডে রেখে রাতে গাদা কিংবা রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে দিতে পারেন। অনেকে এখন চুল খোলা রেখে চুলের নিচের দিকে কিছুটা বাঁকা করে দিচ্ছে। খোঁপা করলে চুলে নানা ধরনের পুতি বসাতে পারেন।