প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের অনেকটা সময় অপচয় হয় এটা ভেবে যে কি পরে ও কীভাবে সেজে অফিসে যাব। কিন্তু এই প্রস্তুতিটা যদি একটু আগে থেকে করা যায় তাহলে তাহলে সকালে উঠে তাড়াহুড়ো মধ্যে পরতে হয়৷ এছাড়া অনেক সময় অফিসের পর দাওয়াত থাকে তখন তো টাচ আপ করেই যেতে হয়। তবে সব মেকআপ তো আর অফিসে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই কিছু প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট ব্যাগের মধ্যেই রেখে দিতে হয়৷ আর আজকে আমি আলোচনা করবো আপনার অফিস লুক কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে।
যেদিন অফিস থাকবে সেদিন হাতে কিছুটা সময় রেখে ঘুম থেকে উঠা উচিত। এরপর ফেইশ ওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে, এরপর একটি টোনার ব্যবহার করুন। এরচেয়ে বেশি কিছু করার সময় হয়ত সকালে পাওয়া যায় না৷ কিছুক্ষণ পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে, সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন। ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন দেয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মূল মেকআপে যান এতে করে প্রোডাক্ট স্কিনে প্রবেশ করার সময় পাবে। অফিসের মেকআপে ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো। এর পরিবর্তে ব্যবহার করুন বিবি ক্রিম। এতে আপনার সাজটা ন্যাচারাল হবে ও খুব বেশি মেকআপ করেছেন বলে মনে হবে না।
[ux_products columns=”3″ ids=”742,165,763″]এরপর কম্প্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করুন৷ আমরা ফাউন্ডেশন স্কিন টোন বুঝে কিনলেও ফেইস পাউডার বা কম্প্যাক্ট পাউডার স্কিন টোন বুঝি কিনি না, কিন্তু কম্প্যাক্ট পাউডার কেনার আগেও স্কিন টোন বুঝে কেনা উচিত৷ রোজকার মেকআপে কম্প্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটি মুখের অতিরিক্ত অয়েল প্রোডিউস হওয়া কন্ট্রোল করে৷ এরপর গাল ও নাকে ব্লাশন লাগিয়ে নিন, ব্লাশন আপনার লুক চেঞ্জ করে দিবে। চোখের মেকআপে ক্ষেত্রে শুধু আইলাইনার, কাজল ও মাশকারাই যথেষ্ট৷ তবে চাইলে ব্রাউন শেডের কোনো আইশেডো চোখের উপর দিতে পারেন। এমন একটি আইশেডো বেছে নিতে হবে যা যেকোনো পোশাকের সাথে মানিয়ে যায়। লিপস্টিকের ক্ষেত্রে নুড কোনো শেড বেছে নিন, কারণ অফিসে খুব ড্রামাটিক লিপস্টিক মানানসই না৷ সবশেষে মেকআপ সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ লক করুন। ঘর থেকে বের হবার আগে পারফিউম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এটি আপনাকে ফ্রেশ অনুভূতি দিবে৷ ব্যাস, হয়ে গেলো আপনার অফিস লুক, আপনি এখন অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি।
অফিস লুক নেয়ার পরে যে প্রোডাক্টগুলো আপনার ব্যাগে রাখবেন
কিছু প্রোডাক্ট আপনার ব্যাগে করে নিয়ে যাবেন, কারণ অনেক সময় মিটিং বা প্রেজেন্টেশনের সময় টাচ আপের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে কম্প্যাক্ট পাউডারটি আপনার ব্যাগে রাখুন। শুধু কম্প্যাক্ট পাউডার দিয়ে টাচ আপ করলেই মেকআপ সেট হয়ে যায়। একটি ব্লাশন ব্যাগে রাখতে পারেন, টাচ আপের সময় রি-এপ্লাই করে নিবেন৷ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি ব্যাগেই রাখতে হবে তা হলো লিপস্টিক। কারণ অফিস যাওয়ার পর আমরা চা কফি ইত্যাদি টুকটাক খাওয়া দাওয়া করি তখন অনেক সময় লিপস্টিক ছড়িয়ে যায় কিংবা উঠে যায়। তাই যে লিপস্টিক সকালে অ্যাপ্লাই করে বের হয়েছেন তা ব্যাগে রেখে দিন।
[ux_products columns=”3″ ids=”14452,509,871″]মেকআপের পাশাপাশি অফিসে আপনার আউটফিটের প্রতিও খেয়াল রাখুন। সেক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে অফিসে আপনার পদ ও অফিসের পরিবেশ। কারণ সব ধরনের পোশাক অফিস পরিবেশের সাথে মানানসই না। তাই এমন আউটফিট বেছে নিন যা আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলবে ও আপনাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দিবে।
আরো জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজঃ Guerniss