ভোর হতেই আমাদের ছুটতে হয় কাজের গন্তব্যে, সারাদিন থাকে নানা ধরণের স্ট্রেস। দিনশেষে ঘরে ফিরে শরীরে এতো টায়ার্ডনেস থাকে যে কোনো ধরণের কাজ করার এনার্জি থাকে না। তখন দেখা যায় অফিস কিংবা ক্লাস থেকে ফিরে টায়ার্ড হয়ে শুয়ে বসে কাটিয়ে দিতে হয় সেক্ষেত্রে কোনো প্রোডাক্টিভ কাজ করা যায় না।
তাই সারাদিনের টায়ার্ডনেস দূর করা খুব বেশি জরুরি। কিভাবে দূর করা যায় টায়ার্ডনেস ও স্ট্রেস তা নিয়ে আজকের লেখা :
শাওয়ার :
ঘরে ফিরে ভালো একটি শাওয়ার আপনাকে রিফ্রেশ করে দিতে পারে। তাই যতো আলসেমি লাগুক না কেন বাড়ি এসে শাওয়ার নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি গরম পানি দিয়ে শাওয়ার নেয়া যায়৷
ব্যায়াম :
যারা প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট ব্যায়াম করে তারা অনেক বেশি এনার্জেটিক থাকে। দীর্ঘদিন শরীর পরিশ্রম না পেলে অল্প কাজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই ব্যস্ততার মধ্যেও রোজ ব্যায়াম করুন৷ আর ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।
পানি পান করতে হবে :
ডিহাইড্রেশন হলে শরীরে সারাদিন ক্লান্তি ভাব থাকে ও কোনো কাজে মন দেয়া যায় না। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এছাড়া তরল জাতীয় খাবার যেমন সুপ, ফ্রেশ ফলের রসের, স্যালাইন ইত্যাদি পান করতে হবে। সারাদিন হাইড্রেটেড থাকলে সতেজ অনুভব হবে।
ডায়েট
খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে কারণ অনেক সময় ভিটামিনের অভাবেও ক্লান্তি অনুভব হতে পারে। এছাড়া অনেকের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে কোন ভিটামিনের ঘাটতি আছে কিনা। আয়রনের ঘাটতি থাকলে প্রতিদিন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এছাড়া ক্লান্তি দূর করার জন্য ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিনের
খাবারে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার ও প্রোটিন থাকে।
মেডিটেশন :
মেডিটেশনের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। মেডিটেশনের ফলে অনেক স্ট্রেস ও ক্লান্তি কমে যায়৷ তাই ব্যায়ামের পাশাপাশি কিছুক্ষণ শান্ত পরিবেশে মেডিটেশন করতে হবে।
রুটিন পরিবর্তন করা :
প্রতিদিন একঘেয়ে জীবনের ফলে অনেক সময় ক্লান্তিবোধ হতে পারে। তাই মাঝে মধ্যে রুটিন পরিবর্তন করা করে কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা পছন্দের কাজ করা যেতে পারে। এতে করে রিফ্রেশমেন্ট হয় ও আবার নতুন করে কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়।
নিজের যত্ন নেয়া :
টায়ার্ডনেস ও স্ট্রেস আমাদের স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে। যেমন স্কিনে ভাঁজ পরে যায়, চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল, ব্রণ ইত্যাদি দেখা দেয়৷ তাই প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে স্কিন কেয়ার করতে হবে। যাতে টায়ার্ডনেসের ছাপ স্কিন থেকে কমে যায়।